প্রত্যয় ডেস্ক, নান্দাইল,ময়মনসিংহ প্রতিনিধিঃ তামরিন নাহার পপি নান্দাইল পৌরসভার ঝালুয়া মহল্লার আবু ছাঈদ মন্ডলের মেয়ে মাত্র তিন মাস হলো পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়েছে উপজেলার আাঁচারগাও ইউনিয়নের সিংদই গ্রামের আব্দুল হেলিমের ছেলে শাহিনের সাথে।
বিয়ের মেহেদির রং এখনো পুরোপুরি মুছে যায়নি। তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পপিকে ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করলো তার স্বামী।
ঘটনার পর অস্বীকার করলেও পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে অকপটে স্বীকার করেছেন ঘাতক শাহীন। সে জানায় ভয় দেখানোর জন্য এই কাজ করেছিল মারা যাবে এ কথা বুজতে পারিনি।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নান্দাইল থানার ওসি মিজানুর রহমান আকন্দ বলেন, ঘাতক শাহীন প্রথমে হত্যার কথা অস্বীকার করলেও পরে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্ত্রীকে গলায় উড়না পেঁচিয়ে হত্যার কথা স্বীকার করে। কি কারনে স্ত্রীকে হত্যা করেছে। এমন কথার জবাবে শাহীন বলেন, তুই বলে সম্ভোধন করে আমাকে বকা দিলে ভয় দেখানোর জন্য স্ত্রীর গলায় ওড়না পেঁচাই। তাতে সে মারা যাবে, আমি তা বুজতে পারিনি।
মামলার বরাত দিয়ে তিনি আরও বলেন, শাহীন বিয়ের পর থেকে শ্বশুরবাড়িতেই বসবাস করতেন। ঘটনার দিন (১৯ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে ঝগড়ার জেরে গলায় উড়না পেঁচালে সে অজ্ঞান হয়ে যায়।
বাড়িতে আর কেউ না থাকায় শাহিন নিজেই পপিকে নান্দাইল উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে আনলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে। পরে প্রতিবেশীরা পুলিশকে খবর দিলে হাসপাতালে গিয়ে শাহীনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পরদিন রবিবার (২০ সেপ্টেম্বর) ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করার পর পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
রবিবার নিহতের পিতা বাদি হয়ে হত্যা মামলা দায়েরের করলে আজ সোমবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, প্রাথমিক সুরতহাল প্রতিবেদনে নিহতের গলায় আঘাতের চিহ্ন থাকায় হত্যা মামলা দায়ের করে আজ সোমবার অভিযুক্ত শাহীনকে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
রিপোর্টঃ আবু হানিফ সরকার